আজ ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

২৭০ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গে নীরব শোলাকিয়া

প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন নান্নুএবারের ঈদে ঘরে বসে ব্যস্ত সময় পারকরলেন কিশোরগঞ্জ জেলা মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি মাপসাসএর সভাপতি আব্দুল করিম সিদ্দিকী দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আমাদের মাঝে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলার ডাক্তার মহামারি করোনাভাইরাসের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার নার্স পুলিশ মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিকদের প্রতি রইল আমার ভালবাসা হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের বাসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।সেই সাথে তিনি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, এবারের ঈদে যেন সকলে যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপন করেন।নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দকে ঘরে ও পরিবারের মধ্যে উপভোগ করেন।সেই সাথে তিনি ধনী-গরীব সকল ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মাঝে যেন ঐক্য সৃষ্টি হয় সেই আহ্বান জানান।তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং সকলকে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জ জেলা মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি মাপসাস জেলা সভাপতি করিম সিদ্দিকী জানান জনতার শক্তির প্রতিবেদককে বহু বছর ধরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। ২৭০ বছরের ইতিহাসে কোনদিন কোন দুর্যোগে বন্ধ থাকেনি ঈদের জামাত। এমনকি ২০১৬ সালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরও মুখরিত ছিল শোলাকিয়া। সেদিনও হয়েছে ঈদের জামাত। তবে এবার অদৃশ্য এক ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে ইতিহাসের সব সমীকরণ। এ বছর ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় হয়নি ঈদের জামাত।
গত ১৪ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত আয়োজন করেনি ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি। এর আগে প্রতি বছরই জামাতের এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক সভা ও মাঠের সংস্কার কাজ হতো।
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরের শহীদী মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম। সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায় মসজিদে অনুষ্ঠিত তিনটি জামাতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, ঈদের দিন শোলাকিয়ায় লাখো মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা কঠিন বিষয়। তাই মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ায় জামাত বন্ধ রাখা হয়।
জানা গেছে, বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম প্রতাপশালী বীর ঈশা খাঁর ১৬তম বংশধর দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহটি ওয়াকফ করেন। সে ওয়াকফ নামায় লিখা আছে, ১৭৫০ সাল থেকে এ মাঠে ঈদের জামাত হয়ে আসছে। সে হিসেব অনুযায়ী শোলাকিয়া মাঠের বর্তমান বয়স ২৭০ বছর। ১৮২৮ সালে ঈদুল ফিতরের বড় জামাতে এ মাঠে প্রথম ১ লাখ ২৫ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়ালাখিয়া’, যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category