বিশেষ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় তার প্রভাব বাংলাদেশেও মরণ ছোবলে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। ইতিমধ্যেই কিশোরগঞ্জ জেলাকে করোনা ভাইরাসের অভয় আশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত প্রায় ২০০ জনের কাছাকাছি। কোয়ারেন্টাইন কিংবা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন শত শত ব্যক্তি। এদের মধ্যে বিদেশ ফেরত ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর থেকে আসা নারী পুরুষরাই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ মোঃ আখতারুজ্জামান আক্তার জানান এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। আক্রান্তরা হলেন উপজেলার ধনকুড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম, নারায়নডহর গ্রামের আসাদ মিয়া,দক্ষিণ পানান গ্রামের মিজান (১০) মৃত্যু হয়।মাধখলা গ্রামের আব্দুল হাই মৌলভী (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপোর্টে পজিটিভ ছিল পুনরায় ঢাকায় পরীক্ষাতে নেগেটিভ আসে) হোসেনপুর উপজেলার হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৪৫ জন। ৪ জন করোনায় আক্রান্তের ১ জনের মৃত্যু হওয়ার কারণে ব্যাপক হারে হোসেনপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিদায় ২০ এপ্রিল উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীকাল ২২ এপ্রিল ২০২০ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ৬ ঘটিকা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোসেনপুর উপজেলা লকডাউন থাকবে। হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় কিশোরগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে (রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মল আইন ২০১৮ এর ১১ (১)(২)(৩) ধারা অনুযায়ী হোসেনপুর উপজেলা অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হলো।গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সড়ক ও নৌপথে অন্য উপজেলা থেকে কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। আরো উল্লেখ করা হয় হোসেনপুর উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা বা জেলায় কোন ব্যক্তি বা যানবাহন যেতে পারবেনা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা থেকে সকাল ৬ ঘটিকা পর্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত কোন লোক ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না মর্মে বিশেষ সতর্ক করা হয়। হোসেনপুর উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজার গুলি বন্ধ থাকবে। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হলো। লকডাউনে যে সমস্ত পরিষেবা চালু থাকবে বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত ডাক্তার ও সরঞ্জামাদি আনা-নেওয়া, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি,খাদ্য সরবরাহ,কৃষি সরঞ্জামাদি,শিশু পন্য ও শিশুখাদ্য, জ্বালানি সরঞ্জামাদি। উল্লেখ্য ২২ এপ্রিল রোজ বুধবার সকাল ৬ ঘটিকা থেকে লকডাউনের এ আদেশ কার্যকর হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply