প্রতিনিধি মোঃ আজাহারুল কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের গ্রাম প্রতিনিয়ত ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙনের ফলে বিলীন হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর প্রতিনিয়ত ভাঙনের ফলে বহু বাড়িঘর বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। হোসেনপুর উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের একদল সাংবাদিক টিম সাহেবের চর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বেদনাদায়ক কণ্ঠে বলেন কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙ্গনের কারণে তিন তিনবার করে বাড়ি পরিবর্তন করেন বলে জানান।২০/২৫ টি পরিবার বর্তমান মৌসুমে ভাঙ্গনের আশঙ্কায় রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর উজান থেকে আসা খরস্রোতা ঢেউ যেন বাসিন্দাদের মরণ ফাঁদ।সাহেবের চর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায় সাহেবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বহু আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় থাকা পরিবারগুলির আকুল আবেদন হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বর্তমানে যে প্রকল্পটি নদী ভাঙ্গন রোধে নেয়া হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নের। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সাহেবের চর গ্রাম রক্ষা বাঁধ নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ২২/১১/২০১৯ থেকে কাজ শুরু হলেও ২৫/৬/২০২০ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলেও নদীতীরে দৃশ্যমান কোনো কাজ এখনো পর্যন্ত হয়নি।বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়িয়ে জুন ২০২১ পর্যন্ত করা হয়েছে।হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম জাহিদুর রহমান সাহেবের চর গ্রাম ও প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে ভাঙ্গন ও প্রকল্প কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় কে লিখিত ভাবে অবহিত করেছেন। সাহেবের চর গ্রাম পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর বাম তীরে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওভারসিস মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ঢাকা কে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প কাজের দৃশ্যমান না হওয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে সদোত্তর দিতে পারেননি।কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান প্রকল্পটির মধ্যে আপদকালীন সময়ের জন্য আগামীকাল ৫ জুলাই ২০২০ থেকে কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
Leave a Reply