আজ ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

হোসেনপুরে আলুর বাম্পার ফলন

প্রতিনিধি: আনোয়ার হোসেন নান্নু, কিশোরগঞ্জ জেলা হোসেনপুর উপজেলা সাহেবের চর গ্রামের মোঃ কফিল উদ্দিন মেম্বার সাহেবের: চলতি উৎপাদন মৌসুমে খাদ্যে উদ্বৃত্ত হোসেনপুর উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিপূর্বে এত বেশি ফলন আর কখনো হয়নি এ উপজেলায়। আবহাওয়া বৈরী আচরণ ও রোগ-বালাইয়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলনের পাশাপাশি বাজারে আলুর দাম আগের বছরের তুলনায় ভালো। ফলে কৃষকের বিগত দিনে লোকসান পুষিয়ে এবার লাভের মুখ দেখছে। হোসেনপুর উপজেলা ডিজিটাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া , সাধারণ সম্পাদক এস.কে শাহীন নবাব ও সাংবাদিক শাহজাহান সাজু সরজমিনে গিয়ে মৌসুমের শুরুতে বীজের দাম ছিল কম। সংকট না থাকায় সার ছিল কৃষকের নাগালের মধ্যে, দামও ছিল কম। গত বছর ফলন ভালো না হওয়ায় বছরজুড়ে আলুর দাম ছিল বেশ চড়া। তাই অধিক লাভের আশায় এ উপজেলার কৃষকরা ব্যাপকভাবে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, এবার জেলার ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধাারণ করা হয়। এর মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর, । লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু উৎপাদন হচ্ছে।
গত উৎপাদন মৌসুমে আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় পাতা পচা রোগে আলুর ফলনে ধস নামে। চলতি উৎপাদন মৌসুমে আবহাওয়া ভালো ছিল। তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।  আলু উৎপাদনের জন্য যেমন আবহাওয়া প্রয়োজন মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া ঠিক সে রকমই ছিল। তেমন কোনো রোগবালাই আলু গাছ স্পর্শ করতে পারেনি। গাছও যেমন হয়েছে চমৎকার তেমনি ফলন খুবই ভালো। হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের কৃষক মোঃ রনি মিয়া বলেন, ভালো আবহাওয়া থাকাটা আল্লাহরই মেহেরবানী। খারাপ হলে আমাদের করার কিছুই থাকে না। এ জন্য আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন । বিঘাপ্রতি এবার আলু উৎপাদন খরচ পড়েছে ৯-১০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে আলুর মূল্য মোটামুটি ভালো। প্রতি মণ আলু পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে তা ৪৫০-৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করলেও কৃষক ১০-১২ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি লাভ করতে পারবেন। । এটা আল্লাহরই মেহেরবানী। খারাপ হলে আমাদের করার কিছুই ছিল না। এ জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন , জনাব এমরুল কায়েস বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে কোনো রাগবালাই হয়নি। ফলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে, কৃষক আলুতে বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন। এবার আলুর যা ফলন হয়েছে তাতে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category