প্রতিনিধি সুমন মিয়া: কিশোরগঞ্জ জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনকারী উপজেলার মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা অন্যতম। সেখানে প্রতিবছরের মতো আগাম পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এতে চলমান পেঁয়াজ সংকট মোকাবিলা কিছুটা লাঘব হবে বলে কৃষকদের আশা।
কৃষকেরা জানান, ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আবাদের মূল মৌসুম শুরু হয়। আমরা আগষ্টে পিঁয়াজ রোপন করে থাকি। এই বছর বৃষ্টির কারণে কিছুদিন বিলম্বে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজ আবাদ শুরু হয়। তোলা যাবে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নজুড়ে ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়। স্থানীয় কৃষকেরা একই জমিতে দুই দফায় দুই জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেন। মোট পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৮১৫মেট্রিক টন। এর মধ্যে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর উঁচু জমিতে পেঁয়াজের কন্দ রোপণ করা হয়।
উপজেলার চরফরাদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি দুলাল মিয়া জানান, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি এক বিঘা জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে রিস্ক নিয়ে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আরো দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করার চিন্তা আছে।
চরটেকি গ্রামের পেঁয়াজ চাষি রফিক বলেন, আগাম পেঁয়াজ মৌসুমি সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখে। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ পেতে অনেকটা বিলম্ব হবে। এতে সংকট মোকাবিলাও কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলামিন বলেন, প্রতিবছর ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই উপজেলার হাটবাজারে আগাম পেঁয়াজ পাওয়া যায়। এবছর ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা। উৎপাদন টার্গেট ১৮১৫ মেঃটন। এখন পর্যন্ত ২০ হেক্টর জমিতে আগাম পেঁয়াজের চাষ হয়েছে এবং পেঁয়াজ চলমান আছে।আশা করছি লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
Leave a Reply