প্রতিনিধি আকিল মিয়া: ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে কোন সুফল নেই। বরং এর ব্যবহার ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝূঁকি তৈরি করে। কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি প্রাণঘাতী জটিলতার সৃষ্টি করে। বিশ্বে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ গড় আয়ুর আগেই মারা যান। এই অকালমৃত্যুর ক্ষেত্রেও ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার অনেকাংশে দায়ি।
তাই ভয়াবহ এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার কমাতে হতে। এ ক্ষেত্রে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও পৃষ্টপোষকতা বা প্রণোদনা বন্ধ হলে তা কার্যকর ফল বয়ে আনবে, যা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে ভূমিকা রাখবে। এজন্যে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে ধুমপান বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কিশোরগঞ্জে তামাকজাত দ্রব্যের সব ধরণের বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধান বাস্তবায়নে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
নাটাব কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম (বার) ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
এছাড়া অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক ডা. মো. এহসানুল হক মুকুল, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ ওয়াহাব বাদল, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন, টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার ফজলে এলাহী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. হাবেজ আহমেদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. উবায়দুল হক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তা হিসেবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধান সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করেন নাটাব প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। এছাড়া তামাক চাষ আমাদের কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তামাক চাষের মাধ্যমে ফসলি জমি নষ্ট করাই কেবল হচ্ছে না, এর ফলে জমি উর্বরা শক্তিও হারিয়ে ফেলছে। কোন জমিতে যেন তামাক চাষ না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। দেশের স্বার্থেই এটি করতে হবে। কেননা তামাকের কোন সুফল নেই। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে। সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে তামাকের চাষ এবং ব্যবহার দুটোই কমাতে হবে।’
Leave a Reply