প্রতিনিধি সাদেক মিয়া : ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই এর পরিদর্শক মো. নাজমুস সায়াদাত।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে শহরের রথখলায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দোকানগুলোতে কাপড় পরিমাপের ক্ষেত্রে বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলের পরিবর্তে নন মেট্রিক গজকাঠি ব্যবহার, সনদবিহীন মিটার স্কেল ব্যবহার, কাপড়ের ক্রয়মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কাপড় বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়।
এসব অনিয়মের প্রেক্ষিতে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ এর ২৮, ৩২(১) ধারায় অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বাংলা ফ্যাশনকে পাঁচ হাজার টাকা, আধুনিক বস্ত্রালয়কে তিন হাজার টাকা, জয় বস্ত্র বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা, বসাক বস্ত্রালয়কে ২০ হাজার টাকা এবং নারায়ণ বস্ত্রালয়কে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এসময় সকল কাপড়ের ব্যবসায়ীদের বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলে কাপড় পরিমাপের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং উপস্থিত জনসাধারণকে কাপড় ক্রয়ের সময় সচেতন থাকার জন্য বলা হয়।
পরবর্তীতে গৌরাঙ্গবাজারের মিষ্টির দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে দই পরিমাপের ক্ষেত্রে পাতিলের ওজন ও দইয়ের ওজনে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১ কেজি/৫০০ গ্রাম বলে বিক্রি করা দইয়ের পাতিলে প্রকৃতপক্ষে দই কম পাওয়া যায়।
এই প্রেক্ষাপটে মদন গোপাল সুইটমিটকে ১০ হাজার টাকা, গৌরগোবিন্দ সুইটসকে পাঁচ হাজার টাকা এবং রাজমনি মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এ সময় সকল মিষ্টির দোকানদারকে দইয়ের পাতিলে পাতিলের ওজন ও দইয়ের প্রকৃত ওজন লিখে সঠিকভাবে বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরপর গৌরাঙ্গবাজারের বিভিন্ন ইলেকট্রিক দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে বিভিন্ন দোকানে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের ক্যাবল ও পরিমাপের সময় কম দেওয়া, বিএসটিআই অনুমোদিত মিটার স্কেলের পরিবর্তে হাত /গজ কাঠিতে পরিমাপের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এই প্রেক্ষাপটে ধ্রুব ইলেকট্রিককে পাঁচ হাজার টাকা, পলাশ ইলেকট্রিককে ১০ হাজার টাকা এবং স্টার ভিডিও ও সাউন্ডকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এর এই অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে মোট ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply