প্রতিনিধি সাদেক মিয়া: কিশোরগঞ্জে কলেজ ছাত্র ফারহান মাসুদ বিজয় (২২) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে নিহত কলেজ ছাত্র ফারহান মাসুদ বিজয়ের পিতা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি (নং-১৪) দায়ের করেন। মামলায় নয়জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫-২০জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএম ইয়াকুব সুমন (৪০)কে প্রধান আসমি করা হয়েছে। ঘটনার দিন সোমবার (৯ নভেম্বর) রাতে কাউন্সিলর একেএম ইয়াকুব সুমনসহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, কাউন্সিলর একেএম ইয়াকুব সুমন ও মনির (২২)। মনির শহরের আখড়াবাজার এলাকার মৃত ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে। বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে মামলা দায়েরের আগে দিনের বেলায় তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেয়া হয় এবং দুইজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া প্রথম মোড়ে কলেজ ছাত্র ফারহান মাসুদ বিজয়কে ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। মুমূর্ষু বিজয়কে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আখড়াবাজার ও নগুয়া এলাকার বিবদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত ফারহান মাসুদ বিজয় জেলার নিকলী উপজেলা সদরের কুমারছাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। সে নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজ থেকে অটোপাশে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ভর্তি কোচিংয়ের জন্য সে সম্প্রতি শহরের নগুয়া এলাকায় বড় বোনের বাসায় ওঠেছিল।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, ফারহান মাসুদ বিজয় হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রহমান রহমান বাদী হয়ে বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে কাউন্সিলর একেএম ইয়াকুব সুমন ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Leave a Reply