প্রতিনিধি আকিল উদ্দিন: কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে সুটকি ব্যবসায়ীরা করোনা সংকটের কারনে চরম দূর্ভোগে পরেছেন।
উপজেলার দাসপাড়া এলাকার সস্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি কেমিক্যাল মুক্ত সুটকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জীত হয়।এ ব্যবসার সাথে জরিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে কয়েক শত পরিবার।আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে বেকার ও অসহায় নারী-পুরুষের।
করোনা সংকটের কারনে বৈদেশিক রপ্তানি না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সুটকি।এলাকার সুটকি ব্যবসায়ীরা পরেছেন এখন চরম দূর্ভোগে।বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার শত শত মানুষের উপার্জনের পথ।
দাসপাড়ার সুটকি ব্যবসায়ী তপন চন্দ্র দাসের ছেলে বিজয় দাস(৪০),আশ্বিনী দাসের ছেলে সুদান দাস(৪৫), নগেন্দ্র দাসের ছেলে নন্দলাল দাস(৪০), সব্বেশরের দাসের ছেলে মহাদেব দাস সহ সকল ব্যসায়ীরা বলেন,করোনার কারনে আমাদের কোটি কোটি টাকার সুটকী নষ্ট হয়ে গেছে।আমরা মহাজনের দেনা পরিশোধ করতে পারছি না।আমাদের এখন না খেয়ে মরতে হবে।আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।
সুটকি ব্যবসার সাথে জরিত গৌরিপুরের মোঃবাছির উদ্দিন বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে এখান থেকে সুটকী নিয়ে সিলেট, গৌরিপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি দামে বিক্রি করি। করোনা সংকটের কারনে বিদেশে সুটকি রপ্তানি না হওয়ায় বড় বড় মাছের সুটকি গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। হাজার টাকা দামের সুটকি এখন তিনশত টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে না বলে আমাদেরও উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
সুটকী সমিতির সভাপতি গৌরাঙ্গ দাস বলেন,এই এলাকার কেমিক্যাল মুক্ত মিটাপানির সম্পূর্ণ নিরাপদ সুটকী দেশ ও দেশের বাইরে অনেক চাহিদা আছে।আর এই সুটকী ব্যবসার সাথে জরিত এলাকার প্রায় ৪০০০ জনগন।করোনা সংকটের কারনে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার সুটকী।এখানে যারা শ্রমিক হিসেবে আছেন তাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে পারছেন।যারা ব্যবসায়ী তারা মহাজনদের ঋন পরিশোধ করতে পারছেন না। তাই তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন এখানকার সুটকী ব্যবসায়ীদের জামানত ও সুদ বিহীন দীর্ঘ মেয়াদী ঋন এবং সুটকী সংরক্ষানাগারের ব্যবস্থা করে অতিশিঘ্রই এ সুটকী খাতকে শীল্প খাত হিসেবে ঘোষনা করা হোক।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,কুলিয়ারচর উপজেলার কালী নদীর তীরে দাসপাড়া এলাকায় গড়ে ওঠা প্রায় শতধিক সুটকির ডাঙ্গীতে সম্পূর্ন কেমিক্যাল মুক্ত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ থেকে গত অর্থবছরে ১০০০ মেট্রিকটন সুটকী উৎপাদিত হয়।এখানকার সুটকী সারাদেশে এমনকি দেশের বাইরেও এর চাহিদা রয়েছে।ডাঙ্গীর মালিক ও সুফলভগীদের তালিকা তৈরি করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করেছি। সরকার যদি এই সুটকী পল্লীকে সুটকী শীল্প হিসেবে ঘোষনা করে সুটকী সংরক্ষন, বিদেশে রপ্তানীকরন সুটকী উৎপাদনকারীদের সহজ শর্তে ঋন প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে তাহলে এলাকা ও সুফলভোগীদের অনেক উপকার হয়।
Leave a Reply