প্রতিনিধি সাদেক মিয়া: চালের পর এবার আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। তিন পর্যায়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা। এই দামে আলু বিক্রি না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেই খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ টাকায়।
সরজমিনে কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার, কাচারি বাজার, গাইটাল ফার্মের মোড়, বত্রিশ, হারুয়া, উকিলপাড়া, গাইটাল পুকুরপাড়, শিক্ষকপল্লী, শ্রীনগর ঘুরে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানেই আলু খুচরা পর্যায়ে বিক্রয় হচ্ছে ৫০ টাকা। ঠিক কি কারণে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে নেই তা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
গাইটাল পাক্কার মাথার বাসিন্দা নূরে আলম জানান, আমি মাত্রই গাইটাল ফার্মের মোড়ের একটি দোকান থেকে ৫০ টাকায় এক কেজি আলু কিনেছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু কিনতে পারলাম কই?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এমনিতেই সংসার চালাতে আমাদের মতো মানুষের খুব কস্ট হয়। এখন প্রত্যেক দ্রব্যের দাম যদি এইভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আমরা জীবন জীবিকা নির্বাহ করবো কিভাবে?
কিশোরগঞ্জ ক্যাবের সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু বলেন, অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক বলেন, আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, মোবাইল কোর্ট হবে।
Leave a Reply