প্রতিনিধি আবু বক্কর সাব্বির: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গেলে নির্বাচনী ওয়াদা ভুলে যায় না। পরিকল্পনা গ্রহণে ও বাস্তবায়নে নির্বাচনী ইশতেহার সামনে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কারো কথায় কান না দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে সচিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে শুদ্ধাচারের বিষয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, দুর্যোগ আসবে, দুর্যোগের জায়গাই বাংলাদেশ। কিন্তু সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেওয়া শুরু করলাম এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম।
অর্থমন্ত্রণালয় সাধারণত কিছু দিতে গেলে তো হাত টেনে রাখে, কিপটেমি করে। এবারে কিন্তু কিপটেমি করেনি। সবাইকে হাত খুলে যেখানে যেটা দরকার আমরা দিয়ে দিয়েছি। সেভাবে দেওয়া হয়েছে বলেই আজকে আমাদের প্রণোদনা প্যাকজে দিলাম, এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল থেকেছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসাবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রত্যেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অনেক ডাক্তার মারা গেছেন, নার্স মারা গেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। তারা কিন্তু সবাই কাজ করেছেন। আমাদের দেশে এক শ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না।
Leave a Reply