আজ ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে জনগণ এখন চায় না।

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কিশোরগঞ্জ জেলা হোসেনপুর উপজেলা সভাপতি এস.কে শাহীন নবাব বলেন, মাঝে মধ্যে মনে হয় একালের রাজনীতিবিদ বড় অংশই জানেন না তাঁদের পূর্ব সুরিরর ছিলেন কতটা গণমুখী কর্মী বান্ধব সৎ ও দেশ প্রেমিক রাজনীতির ময়দানে তাঁরা ছিলেন জননেতা কারাগারে গেলে রাজবন্দী একদল আমলা জানেন না তাঁদের পূর্বসুরিরা একালের মতো নিলর্জ দলকানা লতিহীন সুবিধাবাদী ছিলেন না ছিলেন মর্যাদাবান দক্ষ ব্যক্তিত্ববান প্রজাতত্রের কর্মচারী মানুষের কাছে ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা রাজণৈতিক আদর্শিক জায়গায় উচ্চতায় থাকলেও সংবাদকর্মীদের রুটি রুজি আর পেশার মর্যাদা স্বাধীনতা ও আবিষ্কার আদারের লড়াইয়ে ছিলেন নির্ভীক কখনো নিলর্জ দলীয় কর্মীর কাতারে যাননি ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা আর ধান্দায় মতলবে সবখানে দুটে বেড়ালাম এখনকার গণমাধ্যমে মোড়লদের সম্মানহীন শ্রদ্ধাহীন জীবন অতীতে কখনো ছিল না পেশাদারিত্বের জায়গায় অতিশয় দুর্বলরা একালে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করে বেড়ান। সমাজে দুই দলের অনুগত কর্মী হয়ে দু চারজন ব্যতিক্রম ছাড়া বাকিরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেছেন। কেউ আওয়ামীলীগ এর কেউ বিএনপি জামায়াত এমন নির্লজ্জ দলবাজিতে কোনো দেশের পেশাদারাক তো কখনো ডোবেননি। এ দেশের ইতিহাসেও তাঁদের কর্মরত গণমাধ্যমে কর্মীরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন দায়িত্ব পালনে হামলায় রক্তাক্ত হন। মোড়লাদের প্রতিবাদ মানববন্ধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাররা ছিলেন এক সময় সব ছাত্র ছাত্রীর পিতৃতুল্য অভিভাবক। শিক্ষকরা ছিলেন একেক জন দার্শনিকের মতো জ্ঞানের আলো ছড়ানো আদর্শের বাতিঘর। সরকারি চিকিৎসকরা মানুষের কাছে সৃষ্টিকর্তার পরে ছিলেন পরম ভরসার জায়গায় এমন দলবাজিতে তারা নিমজ্জিত হননি। এখনো যারা মানবতার সেবায় মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পেশাদারিত্বের জায়গায় ইবাদতের মতো দায়িত্ব পালন করছেন। যাদের গণমাধ্যমের মুখ হিসেবে সমাজে বা মানুষের মধ্যে প্রভাব দূরে থাকে। পরিচিতি দূরে থাক ইমেজ বলতেই কিছু নেই তাঁরাই যাচ্ছেন মাঠের রিপোর্টারেরা এখন যান তখন কোনো প্রশ্ন থাকে না মনে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে ময়দানে তাঁরা রিপোটিংয়ে শ্রম দেন। স্নেহ মমতায় দেশের সব প্রতিষ্ঠানের মতো গণমাধ্যমও এক কঠিন চ্যালেঞ্জার মুখোমুখি একদিকে মানুষের প্রয়োজনীয় আকাঙ্কা পালনের সীমাব্ধাতা যেমন রয়েছে তেমনি দক্ষ কর্মী ও নেতুত্বের আকাল চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে যারা ভোটের প্রচারনায় নেমেছিলেন তারা সবাই কি ভোট দিয়েছিলেন আওয়ামলীগের কোনে কোনো নেতা ভোট দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা বলেছেন বিএনপিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। মানলাম করেছে দমন পীড়নে ও শেষ আওয়ামীলীগ এত জনপ্রিয় হয়েছে তার প্রতিফলন দলের বিশাল সমর্থকের অংশগ্রহনে ভোট কেন্দ্রে ঘটল না কেন। তবে কি দেশে ছাত্র রাজনীতের মরুকরনের সঙ্গে জাতীয় রাজনীতির যে বন্ধত্ব চলছে বা গণমুখী আদশর্িক রাজনীতির পরাজয় ঘটছে। সেটাই মানষকে ভোটের প্রতি রাজনীতির প্রতি অনীহা বাড়িয়েছে। তাহলে কি রাজনীতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ তার মানে আমরা যে বলে আসছি ক্ষমতা হারালে দেশজুড়ে সমাজ জুড়ে এই যে, চারদিকে কটর আওয়ামীলীগ তারাও থাকবে না এটাই সত্য নাকি এক কথায় বলা যায় আওয়ামীলীগ বিএনপি উভয় দলই মানুষের কাছেই নয় নিজ দলের সর্মকদের কাছেও জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। দৃশ্যে যা দেখা যাচ্ছে তা কেবল ক্ষমতাবানদের কাচে থেকে সুবিধা ভোগীদের ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ভাভের তুমুল প্রতিযোগিতা যদি এটা হয় তাহলে রাজনীতির জন্য অশুভ লক্ষণ নয়। কলম যোদ্ধা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category