শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, পুরো দেশের মানুষের উৎসুক চোখ এখন এই সেতুতেই । এখন পদ্মার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছোঁয়া যাবে হাওয়ার বেগে। সময় মাত্র ৩৬০ সেকেন্ড। অপরূপ সৌন্দর্যের বদলে যাবে দুই তীরের চেহারা। এখনই সেতুকে ঘিরে বদলে গেছে দুই তীর ও জনপদ। পদ্মাকে ঘিরেই নতুন উদ্যমে এক সমৃদ্ধ ও সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন আঁকছেন দুই তীর ও জনপদের লাখো মানুষ।
পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। পদ্মা সেতুকে ঘিরেই নতুন উদ্যমে স্বপ্ন বুনছেন খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার মানুষরা। নতুন স্বপ্নের আশায় বুক বাঁধছেন পরিবহন শ্রমিকরাও। পদ্মা সেতুর কারণে পর্যটন শিল্পেও বিপ্লবের এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। বর্ষায় পদ্মার উন্মত্ততায় দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের সেই মানুষই ঝলমলে এক সমৃদ্ধ ও সচ্ছল জীবনের স্বপ্ন দেখছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবকাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি সেতু চালু হলেই দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের পুরো সুফল পাবে সাধারণ মানুষ।
বাঙালীর সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে আগামী ২৫ জুন, ২০২২ তারিখ জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু।
Leave a Reply